শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ব্যপক সংখ্যক কৃষক পরিবারের গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া, হাঁস-মোরগ, কবুতর-কোয়েল খামারসহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী। ১১টি পদের দপ্তরটি চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জগন্নাথপুর উপজেলায় গাভীর তালিকা ভুক্ত খামার ৩৫টি, ছাগলের খামার ২৫টি, ভেড়ার খামার ৪৬টি, হাঁস-মুরগীর খামার রয়েছে প্রায় দু’শতাধিক। মোট গরু রয়েছে প্রায় ৬ লাখ, মহিষ ২ শত, ছাগল ১০ হাজার, ভেড়া ১১ হাজার, মুরগি ৪ লাখ সহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু-পাখি রয়েছে আরো লক্ষাধিক। প্রাণী সম্পদ দপ্তরের হিসেবে গৃহপালিত প্রাণীর সংখ্যা মোট ৮ লাখ ১৯ হাজার হলেও তার চেয়ে অনেক বেশী প্রাণী রয়েছে এ উপজেলায়। এসব গবাদি পশু ও হাসঁ-মুরগি গৃহপালিত প্রাণীদের চিকিৎসা সেবা ও খামারিদের পরামর্শ দিয়ে থাকে এই দপ্তরটি। কিন্তু জনবল সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে গবাদি পশু ও হাসঁ-মুরগীসহ গৃহপালিত প্রাণী বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রাণী সম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের গবাদি পশুর চিকিৎসা ও খামারীদের পরামর্শ প্রদান, ওষুধ বিতরণসহ সরকার সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। সরকারের লক্ষ্য কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর উৎপাদন বৃদ্ধি করা। যার মাধ্যমে দেশে ডিম, দুধ ও মাংসের চাহিদা পুরণ করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। জগন্ননাথপুর প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদই রয়েছে পাঁচ বছর ধরে শূন্য। ভেটিরিনারী সার্জন ছাড়া চলছে সরকারী এই দপ্তরের কার্যক্রম। সরকারি এই দপ্তরের ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শূন্য থাকায় ৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারি দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, এমএলএসএস, ভিএফএ, এসএএআইসহ ৪পদের লোকের মাধ্যমে সরকারি এই দপ্তরের কার্যক্রম চলছে। শূন্য পদগুলো হলো ভেটেরিনারী সার্জন ১জন, ভেটেরিনারী কম্পাউন্টার ১জন, ভিএফএ ২জন, ইউএলএ ১জন, অফিস সহকারি ১জন, ড্রেসার ১জন। এই পদগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল না থাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা নিয়ে উপজেলাবাসী পড়েছেন বিপাকে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল আহমেদ খান এর সাথে আলাপ হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, জগন্ননাথপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ দপ্তরের অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় এই এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠির প্রাণী সম্পদ চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা ও জেলায় কর্ডিনেশন সভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে আসছি। তাছাড়া উর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি দ্রুত এই সংকট সমাধান করা জরুরী।
Leave a Reply